আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় নারায়ণগঞ্জ জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি, ১৭৬৬ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতা বিকন লাল পান্ডে, যিনি বেণুর ঠাকুর বা লক্ষী নারায়ণ ঠাকুর নামে অধিক পরিচিত ছিলেন। তিনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিকট থেকে এ অঞ্চল অধীনে নিয়েছিলেন। তিনি প্রভু নারায়ণের সেবার ব্যয়ভার বহনের জন্য একটি উইলের মাধ্যমে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত মার্কেটকে দেবোত্তর সম্পতি হিসেবে ঘোষণা করেন। তাই পরবর্তীকালে এ স্থানের নাম হয় নারায়ণগঞ্জ। কালেক্টরেটের প্রারম্ভিক দলিল-দস্তাবেজে নারায়ণগঞ্জের নাম উল্লেখ পাওয়া যায়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সর্ম্পকে কিছু তথ্যঃ-
নারায়ণগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি জেলা। নারায়ণগঞ্জ শহরে এ জেলার প্রশাসনিক সদর দপ্তর অবস্থিত। অত্যন্ত প্রাচীন এবং প্রসিদ্ধ সোনারগাঁও এ জেলার অন্তর্গত। নারায়ণগঞ্জ সোনালী আঁঁশ পাটের জন্য প্রাচ্যের ড্যান্ডি নামে পরিচিত।

নারায়ণগঞ্জ জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি:-
আবদুল্লাহ আল রাকিব
আবদুল্লাহ আল রাকিব (জন্ম ১৯৮০) একজন বাংলাদেশী দাবা খেলোয়াড়। তিনি ২০০৭ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর ফিদে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব লাভ করেন। তিনি নিয়াজ মোর্শেদ, রিফাত বিন সাত্তার, এবং জিয়াউর রহমানের পর ৪র্থ বাংলাদেশী গ্রান্ডমাস্টার।রাকিব তাঁর প্রথম গ্রান্ডমাস্টার নর্মটি লাভ করেন ২০০১ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত ২য় এশীয় দাবা প্রতিযোগিতায়, দ্বিতীয়টি পান ২০০৪ সালে লিওনাইন চেস ক্লাবের গ্রান্ডমাস্টার দাবা টুর্নামেন্টে এবং তৃতীয়টি পান ২০০৭ সালের এপ্রিলে ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশীপে।

মোনেম মুন্না (জন্ম: ৯ জুন, ১৯৬৮ – মৃত্যু: ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫)
মোনেম মুন্না একজন প্রয়াত বাংলাদেশী ফুটবল তারকা। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের সেরা ডিফেন্ডারদের মধ্যে তাকে গণ্য করা হয়। এক যুগ ধরে আবাহনী ক্রীড়া চক্রের সাথে খেলেছেন। আবাহনী ও বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৯২ সনে আবাহনীর জন্য ২০ লাখ টাকার চুক্তিতে স্বাক্ষর করে নতুন দেশীয় রেকর্ড সৃষ্টি করেন। কোলকাতার ইস্ট বেঙ্গল দলেও খেলেছেন। খেলোয়াড়ী জীবন শেষে আবাহনীর ম্যানেজারের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
ফুটবল ক্যারিয়ার
· ১৯৮০-৮১ : পাইওনিয়ার ফুটবল পোস্ট অফিস
· ১৯৮২ : দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল শান্তিনগর
· ১৯৮৩ : দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ
· ১৯৮৪-৮৫ : প্রথম বিভাগ ফুটবল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ
· ১৯৮৬ : প্রথম বিভাগ ফুটবল ব্রাদার্স ইউনিয়ন
· ১৯৮৭-৯৮ : প্রথম বিভাগ ফুটবল আবাহনী
· ১৯৯১-৯৩ : ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কলকাতা
· ১৯৮৬-১৯৯৭: জাতীয় দল
আতাহার আলী খান

শাহরিয়ার হোসেন (জন্ম: ১ জুন, ১৯৭৬)
মোহাম্মদ শাহরিয়ার হোসেন নারায়ণগঞ্জে জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার।১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে তার অন্তর্ভুক্তি ঘটে। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ এ ক্রিকেট দলের সদস্য মনোনীত হন। এরপর ১৯৯৬ সালে জাতীয় দলে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ঝড়োগতিতে সাবলীল ভঙ্গীমায় উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম অংশগ্রহণসহ ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী টেস্টের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে ঢাকা বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করেন।
জ্যোতি বসু (৮ জুলাই, ১৯১৪ – ১৭ জানুয়ারি, ২০১০)
একজন ভারতীয় বাঙালি রাজনীতিবিদ।তিনি সিপিআই (এম) দলের সদস্য। ১৯৭৭ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত একটানা তেইশ বছর জ্যোতি বসু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনিই ছিলেন ভারতের দীর্ঘতম মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রী।এছাড়াও ১৯৬৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি সিপিআই(এম) দলের পলিটব্যুরো সদস্য ছিলেন।বসু পরিবারের আদিনিবাস ছিল নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বারদী গ্রামে।
সম্মাননা:
তাঁর মৃত্যুর পর বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে বাংলাদেশে ২০১ সদস্যবিশিষ্ট “কমরেড জ্যোতি বসু স্মরণে নাগরিক পর্ষদ” গঠন করা হয়।
আরও পড়ুনঃ
