আলোচিত ত্বকী হত্যাকাণ্ড এর ঘটনায় ৩ জন রিমান্ডে

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ত্বকী হত্যাকাণ্ড এর ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ও সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া ও ডিএমপির ধানমন্ডি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

 

আলোচিত ত্বকী হত্যাকাণ্ড এর ঘটনায় ৩ জন রিমান্ডে

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে র‌্যাব-১১ এর সহকারী পরিচালক সনদ বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আসামিরা হলেন- আবু হোসেনের ছেলে শাফায়েত হোসেন শিপন ও সিরাজুল ইসলামের ছেলে মামুন মিয়াকে ছয় দিনের এবং আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে কাজল হাওলাদারকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব কর্মকর্তা সনদ বড়ুয়া জানায়, ত্বকী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা তদন্ত করলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান র‌্যাব-১১। মামলায় সম্পৃক্ততা পেয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া এলাকা থেকে শাফায়েত হোসেন শিপন ও কালিবাজার এলাকা থেকে মামুন মিয়া এবং ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে ডিএমপির ধানমন্ডি এলাকা থেকে কাজল হাওলাদারকে র‌্যাব-১১ গ্রেফতার করে।

 

 

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, প্রথম দফায় গ্রেফতারের পর ৯ সেপ্টেম্বর শিপন ও মামুনকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে এবং পরে ১০ সেপ্টেম্বর অপর আসামি কাজলকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিনের মঞ্জুর করে। এই তিন আসামি বর্তমানে র‌্যাব হেফজতে রিমান্ডে রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আব্দুর রশিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ত্বকী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতে তোলা হয়। মঙ্গলবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার আলীর আদালতে একজনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এর আগে গতকাল (সোমবার) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট সামসুর রহমানের আদালতে আরও দুজনকে ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরের শায়েস্তা খাঁ রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দুই দিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে রাতেই নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় দণ্ডবিধি ৩০২/৩৪ ধারায় আসামি অজ্ঞাত উল্লেখ করে হত্যা মামলা করা হয়।

google news
গুগোল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

মামলাটির তদন্ত প্রথমে পুলিশ ও পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে তখন মামলাটির তদন্তভার র‍্যাবের ওপর ন্যস্ত হলে তারা সে বছর ২৯ জুলাই ইউসুফ হোসেন লিটন এবং ১২ নভেম্বর সুলতান শওকত ভ্রমর নামে দুই ঘাতকের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ত্বকীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। ৫ মার্চ ২০১৪ তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের নির্দেশে তাদেরই টর্চার সেলে ১১ জন মিলে ত্বকীকে হত্যা করেছে।

 

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment